রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী প্রিয়াংকা সাহার আত্মহত্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন বাবা-মা। ওই ছাত্রী অভিমানে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। কারণ তার বাবা-মা তার জন্মদিনের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। একারণে জন্মদিনের রাতেই তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে পরিবারের সদস্যরা। প্রিয়াংকা সম্প্রতি রাবি থেকে নাট্যকলায় মাস্টার্স শেষ করে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকা হিসেবে যোগ দেন। তিনি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গোশলা রোডের বলরাম সাহার মেয়ে। মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতেই ঘুরকা মহাশ্মসান ঘাটে তার ওই ছাত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
প্রিয়াংকা সাহার বাবা বলরাম সাহা ও মা বন্দনা সাহা জানান, ২২ এপ্রিল সোমবার ছিল প্রিয়াংকার জন্মদিন। ওইদিন বিকেলে প্রিয়াংকা কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে তার বান্ধবীদের সাথে মোবাইলে জন্মদিন নিয়ে কথা বলছিল। এসময় তারা মেয়ের কাছে নিশ্চিৎ হন ওইদিন প্রিয়াংকার জন্মদিন। এসময় প্রিয়াংকা তাদের উদ্দেশ্য করে বলে, তোমরা আমার বাবা-মা, আর তোমরাই আমার জন্মদিনের কথা ভুলে গেলে! তবে এ মন্তব্য করার পরও প্রিয়াংকা সবার সাথে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা বলছিল। রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রিয়াংকা নিজের শুতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মা বন্দনা সাহা প্রিয়াংকাকে রাতের খাবার খেতে ডাকাডাকি করেন। এসময় প্রিয়াংকার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি ছোট মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রী অন্তরা সাহাকে বিষয়টি জানান। পরে অন্তরা তার বোন প্রিয়াংকাকে মোবাইল করলেও তা রিসিভ করেনি। সকালে নাস্তা করার জন্য পরিবারের সদস্যরা প্রিয়াংকাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে প্রতিবেশীদের ডেকে এনে দরজা ভেঙে প্রিয়াংকাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রিয়াংকার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়। ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় প্রিয়াংকার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে রাতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম