রাজশাহীতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শনিবার (১৬ জুন) সকাল ৮টায় হজরত শাহ্ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। প্রচণ্ড খরতাপ উপেক্ষা করে সকালে ঈদগাহ ময়দানে মানুষের ঢল নামে।
রাজশাহীর বিশাল এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন, মহানগরের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামীয়া শাহ্ মখদুম (রহ.) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ শাহাদাত আলী। সহকারী ইমাম ছিলেন হেতমখাঁ বড় মসজিদের ইমাম মুফতি মালানা ইয়াকুব আলী। বয়ান করেন জামিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা নাজমুল হক। তাকে সহায়তা করেন মুফতি কারী রেজাউল করিম।
একই সময় ঈদের দ্বিতীয় প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মহানগর ঈদগাহ (টিকাপাড়া) ময়দানে। তৃতীয় জামাতও অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় মহানগরের সাহেব বাজার বড় রাস্তায়।
রাজশাহী শাহ্ মখদুম (র.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্রায় প্রায় অর্ধ লক্ষ্য মুসল্লি ঈদ-উল-ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।
এখানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতাসহ সাধারণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের প্রধান জামাতে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে দেশ ও জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির স্বার্থে সাম্যের ডাক দেওয়া হয়। আহ্বান জানানো হয় সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ পরিহারের।
পরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সবাই একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা এবং কুশলাদি বিনিময় করেন।
এছাড়া একই সময় মহানগরের ১১০টি ঈদগাহসহ আশপাশের শতাধিক ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রয়াত বাবা-মা ও স্বজনদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য বিভিন্ন গোরস্থানে যান এবং কবর জিয়ারত করেন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪