রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাচন উপলক্ষে আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ চলছে।
মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করছেন। তাই সকাল থেকেই নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে আসছেন প্রার্থীরা।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সেই প্রতীক নিয়ে স্লোগান তুলে মিছিল নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরছেন তারা। এতে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে মহানগরের প্রতিটি এলাকার অলিগলি।
রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, সকাল ৯টায় সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক দেওয়া শুরু হয়। এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়র এবং দুপুর ১২টা থেকে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়া শুরু হয়।
তিনি জানান, প্রতীক বরাদ্দের সময় প্রথমে একটি ওয়ার্ডের সব প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশন থেকে বরাদ্দকৃত প্রতীকগুলো দেখানো হয়। এছাড়া প্রার্থীরা নিজের পছন্দমতো প্রতীক গ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে একাধিক প্রার্থী একই প্রতীক পছন্দ করলে সেক্ষেত্রে লটারি করা হচ্ছে।
সকাল থেকে খুব সুন্দরভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দ চলছে বলেও জানান তিনি।
গত ১৩ জুন রাজশাহী সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেদিন থেকেই প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা নেওয়ার কার্যক্রম চলে ২৮ জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৯ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন।
গত ১ ও ২ জুলাই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। সোমবার (৯ জুলাই) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বাতিল ও প্রত্যাহারের পর এখন মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২১৭ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে রয়েছেন পাঁচজন। আর ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আছেন ১৬০ জন প্রার্থী। এছাড়া সব ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থী ৫২ জন।
এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে মেয়র পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে সাধারণ স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ করা প্রতীকেই। রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীরা আগেভাগেই তাদের প্রতীক সম্পর্কে অবগত থাকায় দু’একদিন আগেই তারা প্রচারপত্র প্রস্তুত করে ফেলেছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকা প্রতীকের ব্যানার, ফেস্টুন সাঁটাতে শুরু করেছেন তার কর্মীরা।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪