রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বিএনপি প্রার্থীর এমন দাবির প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে গণসংযোগ চলাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, ‘শান্তি-সম্প্রীতির শহর রাজশাহীতে সৌর্হাদ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমেই নির্বাচনের দিন পর্যন্ত পার করতে চাই। সেজন্য আমি সেনা মোতায়নের পক্ষপাতি নই। আর বিএনপির প্রার্থীকে বলছি— এই জাতীয় দাবি না করে, বরং সৌর্হাদ্য ও সম্প্রীতি নিয়ে কিভাবে ভোটারদের মন জয় করা যায়, সেই কাজ করেন। তাহলে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকবে।’
গত পাঁচ বছর রাজশাহীবাসীর জীবন নষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে কোনো উন্নয়ন হয়নি, কর্মসংস্থান হয়নি। যে মেয়র ঈদের আগে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারেন না, বেতন দেওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়ায়, সে ১০ লাখ মানুষের কল্যাণ করবে কিভাবে? বিএনপির বুলবুলকে দিয়ে কোনো উন্নয়ন হয়নি, আগামীতেও হবে না।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লিটন রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে নৌকায় ভোট চেয়ে মহানগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন। গণসংযোগ ও পথসভায় সাধারণ মানুষের ঢল নামে। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বেলা ১১টায় মহানগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাশপুকুর মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর দাশপুকুর বউ বাজার, পূর্বপাড়া, বহরমপুর ও বন্ধগেট, নতুন বিলশিমলা, ব্যাংক কলোনি এলাকায় নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করেন। পাড়া-মহল্লার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট চান এবং উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মিলনায়তনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ রাজশাহী শাখার আয়োজনে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে ‘আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মেয়র প্রার্থী লিটন।
বিকেল ৫টা থেকে তেড়খাদিয়া বাজার মোড় ও ডাবতলা এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪