রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের টানা ১৮ দিনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে শনিবার (২৮ জুলাই) মধ্যরাতে। তাই শেষ মুহূর্তে এসে জমে ওঠেছে ডিজিটাল প্রচারণা।
এক্ষেত্রে অত্যাধুনিক ক্যারাভান, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। আর ডিজিটাল প্রচারণার সবধরনের সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আধুনিক প্রচারণায় তিনি এগিয়ে আছেন ছন্দে। তার তুলনায় বুলবুলসহ অপর চার মেয়র প্রার্থীর ডিজিটাল প্রচারণা নামমাত্র।
এদিকে, শেষ মুহূর্তে নগরে সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছে ডিজিটাল ক্যারাভান ও বড়পর্দায় খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র থাকাকালীন নগরে বাস্তবায়ন করা উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র প্রদর্শনী। ডিজিটাল প্রচারণার পাশাপাশি লিটনের ফেস্টুন, পোস্টার ও হ্যান্ডবিলের প্রচারণাও চলছে সমানতালে। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদের মহানগর ও জেলা কমিটি প্রতিদিনই নগরের তিনটি করে ওয়ার্ডে প্রজেক্টরের মাধ্যমে এই প্রচারণা চালাচ্ছে। খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হলে রাজশাহীতে কি কি উন্নয়ন কাজ করতে চান তাও দেখানো হচ্ছে মোড়ে মোড়ে। বড়পর্দায় ফুটে ওঠছে সেসব প্রকল্পের গ্রাফিক্স চিত্র। পথচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রচুর দর্শক তা উপভোগ করছেন।
শুক্রবার (২৭ জুলাই) ডিজিটাল ক্যারাভনে থাকা এর অপারেটর ইব্রাহিম মল্লিক জানান, এ ক্যারাভানটি ঢাকার একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা থেকে ভাড়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। গত ২ জুলাই থেকে রাজশাহীতেই আছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সাবেক মেয়র লিটনের নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হচ্ছে এখান থেকে। শনিবার (২৮ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত এ প্রচারণা চলবে।
এদিকে, রাজশাহী বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে এভাবে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে ভোটাররা খায়রুজ্জামান লিটনের উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা জানতে পারছেন। এখন পর্যন্ত তারা যেসব এলাকায় এভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন, সব জায়গায় অসংখ্য মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে উপভোগ করেছেন। এখানেই তাদের সফলতা।
এর ওপর নৌকার আদলে গাড়ি তৈরি করে নগরে চলছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী লিটনের ডিজিটাল প্রচারণা। পাশাপাশি মেয়র থাকাকালের উন্নয়নগুলো তুলে ধরেও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
‘আগামীর রাজশাহী’ নামে একটি ফেসবুক পেইজে আগামী দিনে খায়রুজ্জামান লিটনের উন্নয়ন পরিকল্পনার ভিডিওচিত্র প্রচার করা হচ্ছে। সেখানে খায়রুজ্জামান লিটনের বক্তব্যও প্রচার করা হচ্ছে। এটি ছাড়াও ‘এসো আবারও বদলে দেই রাজশাহী’ স্লোগানে ফেসবুকে খায়রুজ্জামান লিটন নামে একটি পেইজ থেকে নৌকার পক্ষ থেকেও নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এখানে বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশিত খবর, নির্বাচনী প্রচারণার স্থিরচিত্র ও ভিডিওসহ বিভিন্ন কনটেন্ট শেয়ার করা হচ্ছে।
তবে এদিক থেকে খায়রুজ্জামান লিটনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ডিজিটাল প্রচারণা নেই বললেই চলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারেও সদ্য সাবেক মেয়র বুলবুলের পক্ষে প্রচারণা খুব একটা চোখে পড়ছে না। দিনশেষে কেবল তার নিজ নামে থাকা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সেদিনের প্রচার-প্রচারণার ছবি এবং মাঝে মধ্যে ফেসবুক লাইভ করা হচ্ছে।
এছাড়া অন্য তিন মেয়র প্রার্থীর ডিজিটাল প্রচার-প্রচারণা উল্লেখ করার মতো নয়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪