একদিকে তীব্র গরম। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এই দুই মিশিয়ে হাশফাশ নগর জীবন। গত দুই দিনের এমন অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনেরাতে ১২ ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ থাকছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিমাত্রায় লোড বেড়ে যাওয়ায় লাইনের বিভিন্ন জায়গা ফল্ট করে। এতে করে বিদ্যুৎ সমস্যা দেখা যায় বলে জানিয়েছে নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা। তবে, গত কয়েকদিন থেকে জাতীয় গ্রেড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা কম আসছেও বলে জানিয়েছেন নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসিনা দিলরুবা।
রোববার সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী মহানগরীসহ পুরো জেলায় চরম লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। গত তিন-চার দিন ধরে বিদ্যুতের চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, একবার বিদ্যুৎ গেলে এক ঘন্টার আগে তার আর দেখা মিলছে না। একদিকে ফ্যানের পাখা বন্ধ অন্যদিকে তীব্র গরম। সব মিলিয়ে জীবন যায় অবস্থা।
রাজশাহী নগরীর উপশহর এলাকার আসগর হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, সময় নেই, অসময় নেই। বিদ্যুৎ এই আছে এই নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে আসা যাওয়ার খেলা। সবমিলিয়ে এখন গড়ে দিনের অর্ধেক সময়ও বিদ্যুৎ মিলছে না। এতে করে গরমে চরম কষ্টের মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে শোবার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিটা বেশি পোহাতে হচ্ছে।
নগরীর উপশহর, ষষ্ঠিতলা, সাগরপাড়া, লক্ষ্মীপুর রামচন্দ্রপুর, রানীনগর, তালাইমারীসহ বিভিন্ন এলাকাতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে রাজশাহীর কল-কারখানাসহ দোকান-পাটও। বিশেষ করে ইলেক্ট্রোনিক্সনির্ভর দোকানগুলো নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। যেন ঠিকমতো খুলতেই পারছেন না কেউ কেউ। এই অবস্থায় কেনাকাটায়ও নেমেছে ধস।
নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সুত্র জানায়, রাজশাহী মহানগরীতে প্রতিদিন চাহিদা ৯৫ মেগাওয়াট। তবে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৮৫ মেগাওয়াট। কয়েকদিন ধরে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে।
নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসিনা দিলরুবা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা কম হচ্ছে। সে কারণে বিদ্যুৎতে কিছুটা লোডশেডিং দেখা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একই সঙ্গে অতিরিক্ত গরমের কারণে লোড বেড়ে গেছে। সে কারণে অনেক জায়গায় ফল্ট দেখা দিচ্ছে। সে কারণে এসব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে, সবসময় মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। যেখানেই সমস্যা হচ্ছে সে জায়গা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন