ভারতের সঙ্গে নৌপথে বাণিজ্য বাড়াতে রাজশাহীতে হবে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর। নৌবন্দর স্থাপনের জন্য একটি গভীর চ্যানেল তৈরি করতে শীঘ্রই পদ্মা নদী খনন করে নাব্যতা ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে এই কাজ বাস্তবায়ন করবে। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। শিঘ্রই ভারতের একটি প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শেনে আসবেন রাজশাহীতে। তবে এর আগেই সরকারি উদ্যোগে পদ্মাপাড়ের ৬ কিলোমিটার জুড়ে শুরু হয়েছে খনন কাজ।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাইকান্দি থেকে পাঠানপাড়া পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকা খনন করা হবে। যাতে খনন হবে ২৬ লাখ ঘন মিটার মাটি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে একটি আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এজন্য এই খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা ৮ থেকে ১০ মাস ধরে রাখার চেষ্টা করা হবে। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
ড্রেজার অপারেশন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম. গোলাম সরওয়ার বলেন, মধ্য জুন পর্যন্ত তারা এই নদীতে ড্রেজিং করবেন। এরমধ্যে যতটুকু খনন করার কথা তা সম্পন্ন করা না গেলে, পরের শুকনো মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান আমলেও রাজশাহীতে নৌবন্দর ছিল। ভারতসহ দেশের বড় বড় জাহাজ মালামাল নিয়ে রাজশাহীতে আসত। জাহাজে করেই ঢাকায় যেত রাজশাহীর মিষ্টি আম। তবে ফারাক্কার বাঁধের পর মরা পদ্মায় এখন বর্ষার তিন মাস ছাড়া সারাবছর বালুচর জেগে থাকে। এই বালু সরিয়ে আবারো সেখানে নৌবন্দর গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ ডেইলি সানশাইন