রাজশাহীর তানোরে শাশুড়িকে হত্যা করে বাড়ির আঙিনায় পুঁতে রেখেছেন এক পুত্রবধূ। ঘটনা জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত পুত্রবধূকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
বুধবার (২৯ মে) দুপুরে উপজেলার প্রকাশনগর আদর্শ গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আর বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
নিহতের নাম মোমেনা বেগম (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রী। আটক পুত্রবধূর নাম সখিনা বেগম (২২)। তিনি মোমেনা বেগমের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী।
তানোর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ওই বাড়িতে মোমেনা বেগম ও তার ছোট ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী সখিনা বেগম থাকতেন। মোমেনা বেগমের ছোট ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ধান কাটার কাজে খুলনায় অবস্থান করছেন।
তিনি বলেন, আটক পুত্রবধূ সখিনা বেগম নিজেই শাশুড়িকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেছে। তিনি জানিয়েছেন সকালে বাড়িতে ধান শুকানোর সময় মুরগি এসে ধান খায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি মোমেনা বেগম তাকে মারধর করেন। দুপুরে শাশুড়ি ঘুমিয়ে পড়লে ওই সময় বাঁশ দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করেন। এতেই মোমেনা বেগম মারা যান। এরপর বাড়ির আঙিনায় বড় চুলার নিচে গর্ত করে মোমেনাকে মাটি চাপা দেন পুত্রবধূ সখিনা বেগম।
সখিনা বেগমের বরাতে তিনি আরো জানান, মাটি চাপা দেওয়ার পর পাশের বাড়িতে গিয়ে জা মমিনুলের স্ত্রী রীনাকে বিষয়টি জানান সখিনা। এরপর বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে প্রতিবেশীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল বাশারসহ প্রতিবেশীরা গিয়ে মোমেনা বেগমের দুই পুত্রবধূ সখিনা ও রীনাকে আটক করে পুলিশে খবর। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুত্রবধূকে আটক করে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, রাতেই মরদেহ ময়না তদেন্তর জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর