রাজশাহী সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন আশারিয়া রাব্বি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।
ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. রনক নামে এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজশাহীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম রেজার আদালতে হত্যা ঘটনার সবিস্তার বর্ণনা করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রনক। তার স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে হতাকাণ্ডের ১১ দিন পর ফারদিন হত্যার রহস্য উদঘাটন হলো।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি মো. রনক নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ ছোট মসজিদের পাশের বর্ণালী হলের পেছনের এলাকার মৃত কুদরত আলীর ছেলে। সে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে তদন্ত অব্যাহত রাখে। ঘটনার দিন (৬ আগস্ট) নগরীর বোয়ালিয়া থানায় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার পরদিন ৭ আগস্ট যুবলীগ কর্মী রনককে হেরোইনসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর তথ্যের ভিত্তিতে ফারদিন হত্যাকাণ্ডে রনকের সরাসরি সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ।
পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১৪ আগস্ট পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ফারদিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে। রনকের দেয়া তথ্য মতে তার বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ১৫ ইঞ্চি ধারালো দা উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর