ফিরতি ঈদযাত্রায় যাত্রীর চাপ ও বিভিন্ন কারণে রাজশাহী থেকে ট্রেনগুলো ছাড়তে বিলম্ব করেছে। কিন্তু ঈদ শেষে ঢাকায় যাওয়ার চাপ থাকলেও রাজশাহী আসার যাত্রীদের তেমন একটা চাপ নেই। তারপরও ঢাকার কমলাপুর ছাড়তে বিলম্ব করছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো। ফলে রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
শনিবার সকালে রাজশাহী থেকে বনলতা নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেলেও সিল্কসিটি ছেড়েছে তিন ঘন্টা বিলম্বে। আর পশ্চিমাঞ্চলের অনেক ট্রেনই দুই ঘণ্টা থেকে শুরু করো সাত ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্ব করে কমলাপুর ছাড়ছে।
কমলাপুর স্টেশন গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহী থেকে আসা ধুমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বের ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে।
খুলনা থেকে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে বেলা ১১টায় ঢাকা ছেড়ে গেছে। চিলাহাটি থেকে আসা নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও চার ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় পৌঁছাবে। আর ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া রয়েছে ১২টা ১০ মিনিট।
রংপুর থেকে আসা রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে সাত ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। ফলে বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ রংপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়তে পারে ট্রেনটি।
লালমনিরহাট থেকে লালমনি ঈদ স্পেশাল সকাল সোয়া ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সাত ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। পঞ্চগড় থেকে আসা একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও দুই ঘণ্টা বিলম্বে দুপুর ১২টায় পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সময় দেওয়া হয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, বন্যায় লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে লালমনিরহাট ও শান্তাহার লাইনে ট্রেনের গতি অনেক কমেছে। ফলে পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেন চলাচলে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্ব হচ্ছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine