বিজ্ঞানের ভাষায় মানুষের শরীরে তিন ভাগের দুই ভাগই পানি। অনেকেই বলে থাকেন, পানির অপর নাম জীবন। এমন একটা সময় ছিল, যখন রাজশাহী বাঘা এলাকার মানুষ হাতের নাগালে পর্যাপ্ত পরিমান বিশুদ্ধ খাবার পানি পেতেন না। তবে সময়ের ব্যবধানে এ সমস্য এখন অনেকটায় কেটে উঠেছে। বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের প্রচেষ্টায় এলাকা ভিত্তিক সমস্যা বিবেচনা করে বাঘার প্রতিটি ঘরে-ঘরে এখন বসানো হচ্ছে সাধারণ নলকূপ-সহ উন্নত মানের ডিপ টিউবয়ের এবং ট্যাংকিযুক্ত ও মোটর পাম্প।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে স্থানীয় সরকারের অধীনে বাঘা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌর সভার অধীন ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যায়ে তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ৭২টি সাধারণ নলকুপ বসানোর কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এসব এক-একটি নলকুপের জন্য সরকারের ব্যায় হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।
এ ছাড়াও বর্তমানে সাড়ে ৩৫ লাখ টাকা ব্যায়ে অগ্রাধীকার পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় আরো ৯৩টি মোটরচালিত গভীর নলকূপ বসানোর কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ৭৬টি বসানোর কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেন। এখানে প্রতি টিউবয়েলের জন্য সরকারের ব্যায় ৩৮ হাজার টাকা।
সর্বশেষ গ্রামীন পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ট্যাংকীযুক্ত ও মোটরচালিত আরো ৫৬টি পরিবারের জন্য সাবমার্সেবল পাম্প প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের আসবাব সামগ্রী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে বিতারণ শুরু হয়েছে এবং বসানোর কাজ শুরু হবে চলতি মাসের মধ্যে। এই ট্যাংকীযুক্ত প্রতিটি পাম্প প্রকল্পের জন্য সরকারের ব্যায় হবে ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
বাঘা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা আব্দুল জাব্বার প্রামানিক জানান, জণগণের চাহিদার ভিত্তিতে স্থানীয় সাংসদের বিশেষ বরাদ্দ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান গনেরর মাধ্যমে (সাধারণ বরাদ্দ)তালিকা পেয়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর ফলে খরা মৌসুমে এ অঞ্চলে আর পানির সমস্যা থাকবে না।
সরেজমিন উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে উপকারভোগীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মীরগঞ্জ এলাকার হেলালপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, শুষ্ক মৌসুমে ৫-৬ ফিট মাটি খুড়ে টিউবয়েলের বড়ি নিচে সংযুক্ত না করলে অত্র এলাকার লোকজন পানি পেতো না। কিন্তু বর্তমানে সেটি আর করা লাগবে না। এই সরকার আমলে জনগণ যেমন প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পেয়েছে, একইভাবে আমরা এখন প্রায় প্রতিটা বাড়িতে উন্নত মানের পাম্প এবং মোটারচালিত টিউবয়েল পেয়ে সত্যিই খুব আনান্দিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা জানান, সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে বিশুদ্ধ পানি পানের বিকল্প নেই। কয়েক বছর আগেও এ অঞ্চলে পানি সংকট ছিল। কিন্তু স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রচেষ্টায় পর্যায় ক্রমে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন