একদিনের ব্যবধানে আরো ৬০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৬০ টাকায়। পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। কোথায় গিয়ে দাড়াবে পেঁয়াজের দাম এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হন নি ব্যবসায়ীরা। আর দ্রব্যমূল্যের এমন উর্ধ্বগতিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
রাজশাহীতে একদিন আগেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আরো এক সপ্তাহ পিছিয়ে গত শুক্রবার পেঁয়াজের দাম ছিল ১৩০-১৪০ টাকা কেজি। তারপর থেকে প্রতিদিনই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এ সপ্তাহে এসে তা ঠেকেছে ২৬০ টাকায়। পেঁয়াজের এমন উর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সবজি, চালসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।
গতকাল রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, পেঁপে ২০-৩০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, সিম ৬০-৮০ টাকা, বেগুন ৪০-৬০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, আলু ২২-২৫ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, মুলা ৪০-৪৫ টাকা। এছাড়াও লাল শাক, সবুজ শাক, কলমি শাকসহ প্রায় সবধরনরে শাক বিক্রি হয়েছে ১৫-৩০ টাকা কেজিতে।
অন্যদিকে, রসুন থাই ১৬০ টাকা, দেশি রসুন ২০০ টাকা, আদা ১৪০-২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০-৯০ টাকা, বোতলজাত তেল ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
মাছের বাজারে রকমভেদে দাম উঠানামা করতে দেখা গেছে। বাজারে রকমভেদে ইলিশ ৫০০-৯০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০-১৬০ টাকা, বাগাইড় ৯০০-১০০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১০০-১৬০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৪৮০-৭০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও রুই মাছ ওজনভেদে প্রতিকেজি ১৬০-২০০ টাকা, কাতল ৪০০-৫০০ টাকা, তেলাপুয়া ১৩০-১৪০ টাকা, কৈ ১৪০ টাকা, মোয়া মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং ৪০০-৬৫০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০-৬৫০ টাকা এবং বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে সকল ধরনের মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫২০-৫৫০ টাকা, খাঁশি ৭০০-৭৫০ টাকা, পোল্ট্রি ১২০ টাকা, হাঁস ২৮০ টাকা, লেয়ার ১৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে দাম বেড়েছে চালের। বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট ৪৫-৪৮ টাকা, আটাশ ৪০-৫০ টাকা, জিরাশাল ৪৫-৫০ টাকা, বাসমতি ৫৫-৫৮ টাকা, কাটারিভোগ ৬০-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৫৫-৬০ টাকা, পায়জাম ৬০-৬৫ টাকা, কালোজিরা ৮০-৮৫ টাকা, স্বর্ণা ৩৫-৪০ টাকা, কালজিরা পোলাও ৮০-১০০ টাকা ও চিনিগুড়া আতপ ৯০-১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন