দেরিতে হলেও রাজশাহীর বাজারে পেঁয়াজের মজুদ ভাঙতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ অদালত। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালানো এই অভিযানের প্রথম দিনেই মহানগরীর মাস্টারপাড়া এলাকার এক বাড়িতে ৩০০ বস্তা পেঁয়াজের মজুদ মিলেছে!
রাজশাহী মহানগর এলাকার ওই আমদানিকারকের নাম হাসিবুল ইসলাম। তাকে প্রতিদিন ৫০ বস্তা করে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সোমবার (১৮ নভেম্বর) থেকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা করে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামের নেতৃত্বে রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে মহানগরীর সাহেব বাজার ও পাইকারি বাজার খ্যাত মাস্টারপাড়া এলাকার অনেক দোকান ও আড়তই ছিল বন্ধ।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এ অভিযান সন্ধ্যায় কেন? ওই সময় এমনিতেই তো অনেক দোকান ও আড়ত বন্ধ থাকে। এছাড়া বিকেলে বিক্রি কম থাকায় অভিযানের খবরে অনেক দোকানমালিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু ও ম্যাজিস্ট্রেট যাওয়ার আগেই দোকান বন্ধ করে চলে গেছেন।
আর এতদিন ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি পর্যন্ত রাজশাহীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। তবে, বিমানে পেঁয়াজ আমদানির খবরে পেঁয়াজের দাম এখন কমতে শুরু করেছে। রোববার অভিযানের আগেই রাজশাহীর বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২০০ টাকায় নেমে এসেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বিদেশ থেকে বিমানে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশের বাজারে ঢুকলে দাম আরও কমে যেতে পারে। সেই ভয়ে ২২০ টাকা দরে কেনা পেঁয়াজ ২০০ টাকাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন।এদিকে অভিযানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের কাছে তথ্য ছিল যে, একটি সিন্ডিকেট পেঁয়াজ আমদানি করে তা মজুদ করছে। তারা বাজারে গিয়ে তথ্য পাওয়া সেই জায়গা ঘুরে দেখেন। তবে, রাজশাহীর বাজারে পেঁয়াজের সরবারহ তুলনামূলক ভালো। তারা কোনোভাবেই পেঁয়াজ মজুদ করতে দেবেন না।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর সব খুচরা ও পাইকারি বাজারে ক্রয়পত্র দেখে আগামীকাল সোমবার থেকে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাকে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করবেন। এর সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসা না পর্যন্ত প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ