জেঁকে বসেছে শীত। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। শৈত্য প্রবাহের সঙ্গে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে গতকাল রাজশাহীতে সূর্যের দেখাও মেলেনি। গতকাল থেকে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গতকাল শনিবার রাজশাহীর আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। সূর্যেরও তেমন একটা দেখা মেলেনি। আবহাওয়াবিদরা অবশ্য বলছেন, চলতি বছর বাংলা বর্ষপঞ্জিকা মেনেই শীত এসেছে। পৌষ মাসের শুরু থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে নগরীর গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যস্ততা। সরেজমিনে নগরীর হকার্স মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততা। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজনের বেশিরভাগই ফুটপাত থেকে শীতের কাপড় কিনছেন। ফুটপাতে কাঠের চৌকির উপর স্তুপ করে দোকানে রাখা হয়েছে শিশু ও বড়দের শীতের কাপড়। নগরীর ফুটপাতের শীতের কাপড় বিক্রেতা বাচ্চু মিয়া বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড়ের চাহিদাও বাড়ছে। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। গরমের কাপড় না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষগুলো। শীতের দাপটের সঙ্গে হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পৌষ মাসে এমন আবহাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। মৃদু ধরনের এ শৈত্যপ্রবাহ চলবে আরও ২/১ দিন। এরপর ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।
গতকাল রাজশাহীর আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনভর কুয়াশায় ঢাকা ছিল রাজশাহীর আকাশ। সারা দিনই তীব্র শীত অনুভূত হয়েছে। অবশ্য শীতের এ দাপট শুরু হয়েছে আরও ক’দিন আগে। তখন থেকেই রাজশাহীতে শীত বাড়তে থাকে। নগরবাসী হঠাৎ করেই শীত বাড়ার কথা বলছেন। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়েই শীত এসেছে। পৌষ মাসেই শীত শুরু হয়েছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন