রাজশাহীর পদ্মা নদীতে মৃত গবাদীপশু ও কুকুর-বিড়াল থেকে শুরু করে পশুপাখি ফেলা হচ্ছে নির্দিধায়। এতে করে নদীর পানি ও পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। তবে কোন পক্ষকেই এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। পর্যটকদের দাবি নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষকে সচেতন করা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসন সমন্বিত ভাবে উদ্যোগ নিলে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।
সরেজমিনে রাজশাহী সংলগ্ন পদ্মার তীর ঘুরে দেখে যায়, নদীর বিভিন্ন তীরে মৃত প্রাণী ফেলে রাখা হয়েছে। সেই প্রাণীগুলো পচে-গোলে তা থেকে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। কাকসহ অন্যান্যা প্রাণী এসে সেই মৃত প্রাণীর দেহ ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে। দেহগুলো এভাবে দিনের পর দিন নদীর ধারে পড়ে থাকছে, নয়তো পানিতে ভাসছে।
লালনশাহ মুক্ত কঞ্চের দক্ষিণে বিশাল পদ্মার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে আসা সাবরিনা আক্তার জানান, রাজশাহীতে বিনোদন কেন্দ্র বলতে প্রথমেই আমরা পদ্মা নদীকেই চিনি। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ পরিবার নয়তো বন্ধুবান্ধব নিয়ে এই নদীর বিশালতা উপভোগ করতে আসেন। তবে নদীর পানিতে বিভিন্ন প্রাণীর মৃত দেহ দেখে গা গুলিয়ে আসে, বিনোদনটাই মাটি হয়ে যায়। তাছাড়া এসব পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর।
একই অভিযোগ করে টি-বাঁধ এলাকায় স্বপরিবারে বেড়াতে আসা লিয়াকত আলী বলেন, আশপাশের এলাকার মানুষ তাদের পোষ্য প্রাণী নদীর তীরে এনে ফেলে যায়। আবার অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত প্রাণীগুলোও নদীতে ফেলা হয়। এভাবে না ফেলে মৃত প্রাণীগুলো মাটি চাপা দিলে পরিবেশ ও নদী দুইই রক্ষা পায়। জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় পুলিশ প্রাশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এবং নদী সংলগ্ন উপজেলার প্রশাসনগুলো যদি সমন্বিত ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে তবে এই অবস্থা থেকে বের হওয়া সম্ভব। তাছাড়া এমন বিষয় যে আমাদের নিজেদের জন্যই ক্ষতিকর তা নিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে সচেতনতামূলক প্রচারণার চালানো প্রয়োজন। এমনটা করা গেলে নদীর পরিবেশ সুন্দর করা সম্ভব।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন