রাজশাহীতে বর-কনেসহ বউভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় দু’টি নৌকা ডুবে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরের শ্রীরামপুর এলাকার বিপরীতে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কনেসহ আরো দুইজন।
নৌকাডুবির পর বালু তোলা ড্রেজার নৌকা বর আসাদুজ্জামান রুমনকে উদ্ধার করে। পরে সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রুমন পদ্মার চরের ওপারের থাকা পবা উপজেলার চরখিদিরপুরের গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে।
শনিবার দুপুরে রুমন মহানগরের শ্রীরামপুর এলাকায় আসেন। সেখানে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, নদীর ওপার থেকে আসার সময় পথিমধ্যে হঠাৎ ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে ওই নৌকায় থাকা ছেলে-মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। তখন তার ভাই নৌকা থেকে লাফ দেয়। লাফ দিলে নৌকা হেলে যায়। ফলে পানি এসে নৌকা ডুবে যায়।
রুমন বলেন, একটি বালু তোলার ড্রেজার নৌকা এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে ছিল। কিন্তু সে তার বোনের সঙ্গে নৌকার পেছনের দিকে ছিল। আমি আমার বন্ধু শামীমের সঙ্গে ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে কেউ ছিল না তখন। যারা মেয়ে (কনে) আনতে যায়, ওই ক’জনই ওপারে মেয়েকে আনতে গিয়েছিল। আমরাও ডুবে গিয়েছিলাম। যে নৌকাটি আমাকে উদ্ধার করেছিল, সেটি আরও তিনজনকে উদ্ধার করে। নৌকায় থাকা লোকজন বলেছিল, আমরা তোমাদের বাঁচাই, এখানে আরও চারটি নৌকা আছে। নৌকাগুলো সেখানে খোঁজাখুজি করছিল। পরে সেখান থেকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে নিখোঁজদের খুঁজতে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে চারটি উদ্ধারকারী ইউনিট। এরমধ্যে রাজশাহী সদর ফয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি রংপুর থেকে আসা একটি, বিআইডব্লিউটির একটি এবং বিজিবির একটি ইউনিট নদীতে কাজ করছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন