খবরটি দেখে ভেতরটা একটু কেঁপে ওঠে। মাথয় চিন্তা আসে ওদেরও পেট আছে। ওদেও ক্ষুধা পায়। আমরা সৃষ্টির সেরা জীবন হয়ে এক বেলা খবার পেতে দেরি হলে অধৈর্য্য হয়ে পড়ি। ওরা হয়তো বহু দিন না খেয়ে পার করছে।
সরকার,প্রশাসন ইত্যাদি শুধু মানুষদের ত্রান বিতরন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, নানান হেস্টেল, বাজারের হোটেল নানান কিছু বন্ধ থাকায় এসবের ওপর খাদ্য নির্ভরশীল, রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুর বিড়াল খুব কষ্টে আছে। ডাস্টবিন গুলোও ফাঁকা। চট করে মায়ের সাথে পরামর্শ করি। মা সম্মতি দেয় এবং রান্নার জন্য রাজী হয়। এখন একা তো সব কাজ করা সম্ভব না। তৎক্ষণাৎ আসাদুজ্জামান জুয়েল ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করি। ভাই খুশি হন, অনুপ্রেরণা দেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ভলেন্টিয়ারের জন্য আমার কাছের কিছু মানুষের মীর রাব্বি, মীর আল-আমিন, কামরান আলম ইফতি, আহমেদ আমান রিমন সাথে যোগাযোগ করি। তারাও পাশে থাকার আশ্বাস দেয়। এভাবে শুরু হয় আমাদের যাত্রা এবং আজ আমরা আমাদের উদ্দ্যোগে সফল হয়।
আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাহারে থাকা কুকুর,বিড়াল,পাখির মাঝে ৫২প্যাকেট বিতরন করা হয়। আপনাদের পাশে পেলে, অর্থিকভাবে সহায়তা থাকলে আমাদের এই উদ্দ্যোগে অব্যাহত থাকবে, ইনশাল্লাহ।।।