করোনা আতঙ্কে দেশের অন্য স্থানের মতো রাজশাহীতেও অনেক চিকিৎসক প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে দিয়েছেন। বন্ধ রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসকদের চেম্বারও। ফলে ভোগান্তি বাড়ছেই।
এই ভোগান্তি দূর করতে স্থানীয় সব চিকিৎসকের চেম্বার আবারও খোলার উদ্যোগ নিয়েছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। চিকিৎসকরা যেন সুরক্ষিতভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন তার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) এবং গগলস দিয়েছেন তিনি।
রোববার (০৫ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীর কাছে ৩৫ পিস পিপিই এবং সমপরিমাণ গগলস হস্তান্তর করেন ফজলে হোসেন বাদশা।
এসময় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, চিকিৎসকরা সরকারি দায়িত্ব পালনের পর বিকেলে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে থাকেন। এতে রোগীরা সেবা পান। কিন্তু করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা না থাকার কারণে কোনো কোনো চিকিৎসক চেম্বার বন্ধ রাখছিলেন। এতে বিভিন্ন রোগের রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। এই সংকট কাটাতে পিপিই সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলবেন যেন রোগীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দ্রুত চেম্বারে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।
বিএমএ’র জেলা সভাপতি ডা. এবি সিদ্দিকী বলেন, করোনা ভাইরাসের লক্ষণ হচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাঁশি-শ্বাসকষ্ট। কিন্তু এর বাইরেও অনেক রোগী আছে। কেউ হার্টের, কেউ দুর্ঘটনার, কেউ শারীরিক অন্য সমস্যার রোগী। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের চিকিৎসাও কঠিন হয়ে পড়ছিল। এ অবস্থায় এসব চিকিৎসাসামগ্রী তাদের কাজে দেবে। চিকিৎসকরা চেম্বারে বসতে পারবেন।
পিপিইগুলো হস্তান্তরের সময় ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) রাজশাহী শাখার সভাপতি ডা. এবি সিদ্দিকী, রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমানসহ অন্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ