পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহীতে প্রায় দিনই বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। দিনভর আকাশে চলছে মেঘের তর্জন-গর্জন।
তবে মঙ্গলবারই (২৮ এপ্রিল) প্রথম মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। মেঘলা আবহাওয়ার দিন ঘুঁচিয়ে বেলা ১টার দিকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। একটানা চলে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত। এ সময় রাজশাহীতে ১৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আর এ তিনঘণ্টার বৃষ্টিতেই মহানগরীর সাহেববাজার ও গণকপাড়াসহ নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
এতে রাজশাহীতে চলমান লকডাউনের মধ্যেও দুর্ভোগ দেখা দেয়। নিতান্ত প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বাজারমুুখী হয়েছিলেন তাদের বৃষ্টির পানি মাড়িয়েই কাজ-কর্ম শেষে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
দুর্ভোগের শিকার মানুষ বলছেন, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হচ্ছে মহানগরীর বেশ কিছু এলাকা। এর মধ্যে প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার ও গণকপাড়া এলাকা অন্যতম।
এছাড়া মহানগরীর উপশহর, তালাইমারী মোড়, রেলগেট ও সিটি বাইপাস এলাকার বিভিন্ন সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
মহানগরীর গণকপাড়া এলাকার মামুন সজিব বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই এ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ড্রেন উপচে পড়ে নোংরা পানি বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যায়। এতে চলাচলে সমস্যা হয়। বৃষ্টি শেষ হলে পানি নেমে যায় ঠিকই। কিন্তু এ ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় অনেক ভোগান্তি হয় তাদের।
রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল থেকে রাজশাহীতে কমবেশি প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২২ এপ্রিল রাজশাহীতে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর পর ২৪ এপ্রিল ১ মিলিমিটার, ২৭ এপ্রিল ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার মহানগরীতে ১৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে বৈশাখে এমন বৃষ্টিপাত খুবই স্বাভাবিক। বৈশাখ হচ্ছে ঝড়-ঝঞ্ঝার মৌসুম। তাই বৈশাখের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রায় প্রতিদিনই অল্পসল্প বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার রাজশাহীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। তাই বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের প্রথম।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুস সালাম বলেন, রাজশাহীতে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমকি ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ এবং বিকেল ৩টায় ৯৬ শতাংশ।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ