সুষম ও পুষ্টিকর খাবারের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাঁর নির্বাচনী এলাকায় সরকারী ত্রাণের চালের সাথে সবজি বিতরণের পর এবার ডিম বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন। মঙ্গলবার চারঘাট-বাঘা উপজেলায় ৫ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ টি করে ডিম বিতরণ করা হয়। পর্যায় ক্রমে আগামি এক সপ্তার মধ্যে এই সুবিধা পাবে ১৬ হাজার পরিবার।
মরণব্যধী করোনা সংকটকে কেন্দ্র করে সরকারি ও বে-সরকারি ভাবে দরিদ্র এবং কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। গত একমাস ধরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ত্রাণের চালের পাশাপাশি সংকট উত্তরণে তার নির্বাচনীএলাকার দুই উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে চালের সাথে মৌসুমী সবজি বিতরণ করেছেন।
সর্বশেষ গত ৫ মে থেকে সরকারী ত্রাণের চালের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বিভিন্ন মৌসুমী সবজি এবং পরিবার প্রতি ১০টি করে ডিম দেয়া কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চালের সাথে প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া সবজি ও ডিম পেয়ে উপকারভোগীদের মুখে দেখা গেছে স্বস্তির হাসি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস সিরাজুল ইসলাম জানান, চলমান করোনা সংকটের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার অসচ্ছল ও দরিদ্র মানুষদের সরকারি ভাবে ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রথমে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন মৌসুমী সবজি যেমন- আলু, পটল, মিষ্টি কুমরা, লাউ, করলা, পুইশাক, ডাটা শাক ইত্যার্দি সরাসরি কৃষকের ক্ষেত থেকে ন্যায্যমূলে কিনে বিতরণের উদ্দ্যোগ নেন। পরে রমজান মাস ও দরিদ্রদের পুষ্টির কথা ভেবে ১৬ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ টি করে ডিম দেয়ার উদ্যোগ নেন।
এতেকরে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষকরা যেমন তাদের উৎপাদিত সবজি ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন, তেমনী অসচ্ছল কর্মহীন ও দরিদ্রদের পুষ্টির চাহিদা পূরন হচ্ছে। করোনা সংকট পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মঙ্গলবার সপ্তম বারের মতো বাঘা পৌরসভা থেকে করোনা মোকাবেলায় ৬৫০ জন কর্মহীন ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ সহায়তা ১০ কেজি করে চাল বিতরণনের পাশা-পাশি স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পক্ষ থেকে ১০ টি করে ডিম পেয়ে অত্যান্ত খুশি হয়েছে উপকার ভোগিরা।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক সানশাইন