রাজশাহীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিক্ষকসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও দু’জন।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টা থেকে দিনগত রাত ২টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান মাহাবুবে খোদা ও মহানগরের শাহ মখদুম থানার বড় বনগ্রাম এলাকার অধিবাসী সেলিম মৃধা।
এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) প্রিন্সিপাল অফিসার মহানগরের মহিষবাথান এলাকার এখলাসুর রহমান (৪০) এবং মহানগরের বোয়ালিয়া থানার রামচন্দ্রপুর এলাকার আশরাফ আলীর স্ত্রী শামীমা বেগম (৪৮)।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শামীমা বেগম জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে হাসপাতালের ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার মরদেহ থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান শাহ মখদুম এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম মৃধা। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
এরপর বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে মারা যান রাকাবের প্রিন্সিপাল অফিসার এখলাসুর রহমান। তিনি উপসর্গ নিয়ে ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। তার মরদেহ দাফন করা হবে গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলায়।
আর বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু হয় নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান মাহাবুবে খোদার। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে দু’জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজশাহীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ জনে। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০২। এর মধ্যে কেবল মহানগর এলাকায় রয়েছেন ৫৭০ জন।
এছাড়া করোনা পজেটিভ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১১৪ জন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ