রাজশাহী নগরীর হেতেমখা লিচুবাগান এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ও ককটেল বিস্ফারণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে জড়ো করার চেষ্টা করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তবে পুলিশের তৎপরতায় সেটি ভেস্তে যায়। হামলার ঘটনায় রাজশাহী নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষকে দোষারোপ করে স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে নগরীর হেতেমখা লিচুবাগান এলাকা এবং সিপাহীপড়া এলাকার যুবকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাওনের ছোট ভাই শিমুল এবং তার লোকজনের সঙ্গে সিপাহী পাড়া এলাকার যুবকদের মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি দোকানপাট ও বাড়ির দরজা।
এই ঘটনার পরে স্থানীয় কয়েকজন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষকে দোষারোপ করে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এতে ওই এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে তাৎক্ষণিক মহানগর রাজপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। ফলে পরবর্তীতে আর বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে ঘটনার পর রকি কুমার ঘোষ তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।
রকি কুমার ঘোষ তার ফেসবুকের লিখেন, ‘আজকের ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির সাথে আমি কোনভাবে সম্পৃক্ত নই। পুরো বিষয়টা আমার বিরুদ্ধ একটি সুপরিকল্পিত গভীর ষড়যন্ত্র। আমার রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত অবস্থান, সুনাম ও ইমেজ নষ্ট করার জন্য একটি স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী এই গভীর ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত। আমি দীর্ঘ দিন ছাত্র রাজনীতিতে অত্যন্ত সুনাম ও সততার সাথে রাজশাহীর সকল স্তরের মানুষের আস্হা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করেছি। তৃতীয় কোন পক্ষ দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ঘটে যাওয়া ব্যক্তিগত রেষারেষিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিয়ে রাজশাহীতে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করতে চায়। এরা কারা??? যারাই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।রাজশাহীবাসীকে কোন ধরনের গুজব, অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine