শীতের মিষ্টি মানেই খেজুরের গুড়! কিন্তু জানেন কি, কেবল রান্নায় স্বাদ বাড়াতেই নয়, নানা অসুখের প্রতিরোধক হিসেবেও ব্যবহৃত হয় খেজুরের গুড়। এমনকি, আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও এই গুড়ের ব্যবহার পরিলক্ষিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘খেজুরের গুড়ের আয়রন শরীরের নানা কাজে লাগে। চিনি বা কৃত্রিম চিনির চেয়ে এটি অনেক উপকারী। চিনি নিয়ে চিকিৎসকদের নানা দ্বিমত থাকলেও খেজুরের গুড় নিয়ে কোনো মতভেদ নেই।’
♦ চিনির বিকল্প গুড়। চিনির কার্বোহাইড্রেট শরীরে জমে। কিন্তু গুড়ের কার্বোহাইড্রেটের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই। তা রক্তের সঙ্গে দ্রুত মিশে যেতে পারে আবার রক্তে বেশিক্ষণ থাকতেও সক্ষম।
♦ এই গুড় হজমে সাহায্যকারী উৎসেচকের শক্তি বাড়ায়। ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়, বদহজমজনিত সমস্যাও থাকে না।
♦ পিরিয়ডের সমস্যা মেটাতে এই গুড় কার্যকর। পিরিয়ডের আগে বা সময় এই গুড় খেলে নানা শারীরিক সমস্যার সমাধান হয়।
♦ হরমোনের সমতা রক্ষা ছাড়াও এনডোরফিন্স বা ‘হ্যাপি হরমোন’-এর ক্ষরণ বাড়িয়ে এই সমস্যাগুলো দূরে রাখে খেজুরের গুড়।
♦ গুড় শীতকালে শরীরকে গরম রাখে। ফলে ঠাণ্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে লড়তে সুবিধা হয়।