‘আজ লন্ডনের আবহাওয়াটা মোটেও ভালো নয়’
কথাটায় একমত হতে পারলেন না ওভালের ভক্সহল গেটে দাঁড়ানো এক নারী নিরাপত্তাকর্মী। একটু অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে বললেন, ‘কী বলছ, এটা তো খুবই ভালো আবহাওয়া!’ দুপুরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি, হাড় কাঁপানো বাতাস আর আকাশজুড়ে কালো মেঘ—ব্রিটিশদের কাছে ভালো আবহাওয়া হতে পারে। তবে কিছুতেই বাংলাদেশ-বান্ধব আবহাওয়া নয়।
দুপুরে বৃষ্টিবাধায় মাঠে অনুশীলনই করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। দ্রুতই ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে কিউইরা ফিরে গেছে টিম হোটেলে। বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে আসার কথা স্থানীয় সময় বিকেল ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা)। ভেজা মাঠে তারা আদৌ অনুশীলন করবে কি না, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বলা কঠিন। আজ আবহাওয়া যেটাই হোক, চিন্তা আসলে কাল নিয়ে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে মেঘলা আবহাওয়া থাকবে কালও। বৃষ্টি যদি নাও হয়, এই হিম-মেঘলা আবহাওয়া বাংলাদেশের জন্য কিছুতেই সুখকর নয়। ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছিল রোদেলা আবহাওয়া। সে সঙ্গে ব্যবহৃত হাই স্কোরিং উইকেট। এখানে উইকেট ঢাকা কাভারে। দূর থেকে বোঝার উপায় না থাকলেও খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, কাল নতুন উইকেটে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। নতুন উইকেট আর মেঘলা আবহাওয়ায় কিউই ফাস্ট বোলাররা পেতে পারেন সুইং। আর সেটি হলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষাটা হয়ে যাবে আরও কঠিন।
এ কঠিন পরীক্ষা যে দুজন সবার আগে দেবেন, তাঁদের একজন সৌম্য সরকার বলছেন, বলে সুইং থাকবে কি থাকবে কি না, সেটি না ভেবে তাঁদের তৈরি থাকতে হবে, ‘নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে একই উইকেট থাকবে, সেটা বলা যাবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যবহৃত উইকেট ছিল। এই ম্যাচে হয়তো উইকেট নতুন হবে। ওদের বোলাররা গতির সঙ্গে হয়তো সুইংও পাবে। গতি-সুইং সামলে কীভাবে খেলা যায়, সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
সৌম্য অবশ্য কবির মতো বলতে পারতেন, ‘মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে!’ ওভালে কাল সূর্য যদি নাও হাসে, বাংলাদেশ নিশ্চয়ই প্রথম ম্যাচের মতো হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়তে চাইবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ প্রথম আলো