আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। এরপর বাংলাদেশে পালিত হবে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। খুশির দিনটি উদযাপনে কমবেশি সবাই ঢাকা ছাড়ছে। ট্রেনে-বাসে-লঞ্চে করে শুরু হয়েছে বাড়িমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। বুধবার সকাল থেকেই বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষকে দেখা গেছে।
গত ২৯ জুলাই যারা ট্রেনের আগাম টিকিট কিনেছেন, তারাই আজ প্রথম বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। তাদের বাড়ি যাওয়ার মধ্যে দিয়ে রেলের ঈদসেবা শুরু হলো। সকাল ছয়টায় রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে রেলের যাত্রীদের ঈদযাত্রা শুরু হয়।
ভোর থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের বেশ ভিড় দেখা যায়। ঈদযাত্রার প্রথম দিন কমলাপুরে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেনে উঠতে পারলেও বিমানবন্দর স্টেশনে বদলে যায় চিত্র। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনগুলো। যাত্রীর চাপে অনেককে পরিবার-পরিজন নিয়ে ট্রেনে উঠতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ছয়টায় কমলাপুর থেকে কমলাপুর থেকে রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। সে হিসেবে এই ট্রেনের যাত্রীরা ভোর থেকে স্টেশনে ছিলেন অপেক্ষায় ছিলেন। আর ঈদের ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে অনেকেই আরও আগে এসে প্লাটফর্মে বসেছিলেন। কিন্তু ছয়টার ট্রেনটি কিছুটা দেরিতে কমলাপুর ছেড়ে চলে যায়।
বুধবার কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে তিনটি ঈদ স্পেশালসহ মোট ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেন। যেগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ২৭ হাজার ৮৮৫টি।
এদিকে একইদিনে দূরপাল্লার বাসেরও ঈদ সার্ভিস শুরু হয়েছে। ২৯ জুলাই টিকিট কেনা যাত্রীরা বুধবার ঈদে বাড়ি ফেরার যাত্রা শুরু করছেন। বিশেষ করে গাবতলী বাস টার্মিনালে উত্তরবঙ্গ ও বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ভোর থেকেই গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়তে শুরু করেছে। এজন্য বাস টার্মিনালগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় আছে। আজ ভিড় কিছুটা কম থাকলেও আগামীকাল থেকে ভিড় আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকেও মঙ্গলবার দিনগত রাত থেকেই বিভিন্ন গন্তব্যের লঞ্চ ছেড়ে গেছে। বুধবার ভোরেও অনেক লঞ্চ ঘাট ছেড়ে গেছে। দক্ষিণবঙ্গসহ দেশের ২৩টি জেলার মানুষ নদী পথেই বাড়ি ফিরবেন।
ঈদযাত্রায় নৌপথে যাত্রীর চাপ পড়ে দ্বিগুণের বেশি। তবে এসময় ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সদরঘাট পৌঁছতে গিয়ে বেশ দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। বিভিন্ন এলাকা থেকে সদরঘাট পর্যন্ত বাস কম থাকায় গুলিস্তান থেকে হেঁটে সদরঘাটে ছুটতে হয় অনেককে।
সদরঘাট থেকে গতকাল বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠিসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে গেছে বেশ কয়েকটি লঞ্চ। আর এসব লঞ্চে করে ঢাকা ছেড়েছেন বিপুল যাত্রী।
সড়কপথে এবার যাত্রার আগে থেকেই টিকিটের হাহাকার দেখা গেছে। সড়কপথে ঢাকার মহাখালী, কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে উত্তর-দক্ষিণের জেলাগুলোর বাস ছাড়ে। সকাল থেকে টার্মিনালগুলো থেকে মানুষ বাড়ি যাওয়া শুরু করেছেন। তবে বেশি যাত্রীর চাপ পড়বে আগামীকাল থেকে ১০ আগস্ট। এর মধ্যে কিছু কিছু এসি বাসের টিকিট পাওয়া গেলেও মিলছে না নন এসি বাসের টিকিট।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine