গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৯ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৬৮ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭ জনে। মৃত ২২০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪২ জন এবং ৭৮ জন নারী।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৮১ হাজার ৫২১ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬২৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৫০টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৪৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭০ লাখ ১৫ হাজার ২৩৪টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে চার জন, সিলেট বিভাগে ছয়জন, রংপুর বিভাগে ১৮ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ জন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে নয়জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ