নাটোরের তিন উপজেলায় হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে রবি শস্যসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দশ থেকে পনের মিনিটের শিলা বৃষ্টিতে আম, লিচু, পেয়ারা, পেয়াজ, রসুন, বোরো ধান, সরিষা, গম, কালাই, ভুট্টা, সবজি, পান বরজসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও বাড়ি-ঘরের ক্ষতি হওয়াসহ বিভিন্ন পাখি মারা গেছে। হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।
কৃষকরা জানান, রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জেলার নলডাঙ্গা, সিংড়া ও সদর উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় হঠাৎ করে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। দশ থেকে পনের মিনিটের শিলা বৃষ্টিতে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলা বৃষ্টিতে সকাল ১০টা পর্যন্ত টিনের চালা, খরের গাদা, রাস্তাসহ কোনো কোনো স্থানে শিল জমে থাকতে দেখা গেছে। শিল পড়ে টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার ছাতনী এলাকার কৃষক নাসির উল্লাহ জানান, হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে তার অনেক কষ্টের ফসল একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এতো শিল তারা আগে কখনও দেখেননি।
একই এলাকার পেয়ারাচাষি আব্দুল গফুর জানান, শিলা বৃষ্টিতে তার ৭ বিঘা পেয়ারা বাগান একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে
সিংড়ার গৃহবধূ জোবেদা খাতুন জানান, শিলা বৃষ্টিতে তার ঘরে চালা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক পাখি মরে বাড়ির আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বোরো ধানের পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে গেছে। এজন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা ।
শিলা বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, শিলা বৃষ্টিতে ২ হাজার ৭৭৪ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ জাগোনিউজ২৪