রাজশাহীতে ট্রেনের ফিরতি টিকিট কালোবাজারির অপরাধে এবার দুই বোনের কারাদণ্ড হয়েছে। তারা হলেন- মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুর মহল্লার নজরুল ইসলামের স্ত্রী সুমনা আক্তার (৩৫) ও মতিহার থানার তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার কাইয়ুম আলীর স্ত্রী সুমি খাতুন (৩২)।
বুধবার (১৩ জুন) দুপুরে তাদের সাজা দেওয়া হয়।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির সময় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাদের আটক করে র্যাব-৫ এর একটি দল। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষ স্বীকার করায় রাজশাহী জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মামনুন আহমেদ অনীক তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রাজশাহী জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মামনুন আহমেদ অনীক জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারীর কাছ থেকে আটটি টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তাদের বড় ভাই কালোবাজারে টিকিট বিক্রি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। তার মাধ্যমেই তারা দুই বোন কালোবাজারিতে জড়িয়েছেন। দণ্ড দেওয়ার পর তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামনুন আহমেদ অনীক জানান, আগাম টিকিট যতদিন বিক্রি করা হবে ততদিনই তারা স্টেশনে অবস্থান করবেন। বুধবার ২২ জুনের ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। স্টেশনের টিকিট বিক্রির কাউন্টারের সার্ভার রুমে বসে তিনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগির ৪৬০টি টিকিটই বিক্রি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গত শনিবার (০৯ জুন) থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ঈদের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই স্টেশনে চার কালোবাজারিকে আটক করা হয়।
এছাড়া পরদিন রোববার দু’জন এবং মঙ্গলবার আরও ছয়জন টিকিট কালোবাজারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়। কালোবাজারি ঠেকাতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিন থেকেই রেলওয়ে স্টেশনে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪