অবশেষে চর অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে থাকা শ্রীরামপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আর তাদের একটিও সাইনবোর্ড নেই।
এর আগে সেখানে দেশের একমাত্র কারা প্রশিক্ষণ একাডেমির বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলতে বেশ কিছু জায়গা অধিগ্রহণ করেছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, রোববার (০৯ জুন) বিকেলে অধিগ্রহণের পর সেখানে পুঁতে রাখা কারা কর্তৃপক্ষের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেগে ওঠা চরের মধ্যে ‘কারা প্রশিক্ষণ একাডেমির জন্য নির্ধারিত স্থান’ উল্লেখ করে অন্ততঃ ছয়টি সাইনবোর্ডও বসানো হয়েছিল।
জেগে ওঠা চরের ১শ একর জমি অধিগ্রহণ করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সম্প্রতি পদ্মানদীর চর অধিগ্রহণের এমন উদ্যোগের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে স্থানীয় কয়েকটি সামাজিক সংগঠন। এ অবস্থায় চরের অধিগ্রহণ ছেড়ে দিলো কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি রাজশাহীতেই হবে, তবে অন্য কোনো স্থানে, পদ্মার পাড়ে নয়। রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাও পদ্মার চর অধিগ্রহণ করে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের বিপক্ষে অবস্থান নেন। এরপরই কারা কর্তৃপক্ষ পদ্মার অধিগ্রহণ ছেড়ে দিলো।
তবে বিষয়টি নিয়ে রাজশাহীর উপ কারা মহাপরিদর্শক আলতাব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বক্তব্য দিতে রাজি হননি তিনি।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর