রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। তার আগের দিন শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ১০ জন এবং বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ৮ জন ভর্তি হয়েছেন। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে ক্রমেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে।
বাড়ছে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা। তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হাসিবুল ইসলাম (১০) নামে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
রামেক হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৭ জুলাই থেকে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি শুরু হয়। এর মধ্যে শনিবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত মোট ৫২৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন মোট ৫০৫ জন ডেঙ্গুরোগী। এর মধ্যে মাত্র চার জন রাজশাহীতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। আর অন্যরা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে মাত্র ১৮ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অথচ এক সপ্তাহ আগেও হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২শ ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা আশানুরূপভাবে কমতে শুরু করেছে। যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হচ্ছেন তার চেয়েও বেশি রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছেন। আর আক্রান্তদের বেশিরভাগই রাজধানী ঢাকা বা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
আক্রান্তের অনুপাতে রাজশাহীতে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা কম। গত ১৭ জুলাই থেকে হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগী ভর্তি শুরু হয়। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত মোট ৫২৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র চারজন রাজশাহীতেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এছাড়া গত ১২ আগস্ট একজন রোগী ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আব্দুল মালেক নামে ওই ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বহরম হাউসনগর মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন।
তিনি ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সেখানে গিয়ে ডেঙ্গুরোগে হয়েছিলেন। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পার করে তিনি হাসপাতালে আসেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী থেকে হাসিবুল ইসলাম (১০) নামে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্র শনিবার দুপুরে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। হাসিবুল বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর গ্রামের টগর আলীর ছেলে ও গোচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। তার অসুস্থতার ব্যাপারে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন উপজেলায় এই প্রথম স্থানীয় কোনো ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
তবে, ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, হাসিবুল ইসলামকে আইসিইউতে রাখা হলেও এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান হাসপাতাল উপ-পরিচালক।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর