বাংলাদেশের অন্যতম একটি হাট হলো সবুজ নগরী রাজশাহীর সিটি হাট। আর মাত্র দুই দিন পর ঈদুল আজহা পালন করবে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। প্রতিবছর যেমন কুরবানির পশু ক্রয়–বিক্রয় করার জন্য হাট বসে, ঠিক তেমনি এবারও হাট বসেছে সারা দেশে। পশু বেচাকেনার জন্য রাজশাহী শহরের অন্যতম একটি হাট হলো সিটি হাট।
সিটি হাটটি বসে বাইপাস মোড়, বড় বনগ্রাম, রাজশাহীতে। এখানকার পরিবেশ বেশ মনোরম। দূরদূরান্ত থেকে অনেক লোকজন আসে এই হাটে।
উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় হাট হলো এই রাজশাহী সিটি হাট। এই হাটটি সপ্তাহে দুই দিন বসে কুরবানি ঈদ ব্যতিত। বর্তমানে এই সময়ে কিছুদিন পর পর হঠাৎ বৃষ্টি হচ্ছে, তাই মাঝে মাঝে হাটে পশু কেনাবেচার সময় ক্রেতা ও বিক্রেতার চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু ঈদের সময় একদম কাছে চলে আশায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের প্রতিকূলতার মধ্যেও কেনা-বেচা করতে হচ্ছে।
রাজশাহী সিটি হাটে বিভিন্ন ধরনের পশু উঠে। যেমন গরু, মহিষ,ছাগল,ভেড়া ইত্যাদি। নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশুগুলো নিয়ে আসা হয়। পশুর সাইজ অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন দাম চান বিক্রেতারা। যেমন গরুর দাম ৪৫০০০ থেকে ১০০০০০০ এর মধ্যে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ছাগলের বিভিন্ন দাম যেমন ১৩০০০ থেকে ৪০০০০ মধ্যে বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন হবার কারণে শহরবাসী তাদের কুরবানির জন্য পশু কেনাবেচার তেমন সুযোগ পাননি। ঈদের আর মাত্র ২ দিন বাকি। সেজন্য হাট ঘুরে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। সেই সাথে পকেটমারের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উচিৎ সতর্কভাবে হাটে অবস্থান করা।
মুসলিমগণ কুরবানি করেন মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। যখন আমরা পশু কিনি তখন বেশিরভাগ ক্রেতারা একটা কথা বলে যে এই পশুর মাংস কতটুকু হবে বা এর ওজন কত। আমাদের এসব কথা বলা অনুচিত। কেননা আমরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য কুরবানী করি, গোশত খাওয়ার জন্য নয়। তাছাড়া আরও অনেক অনৈতিক কথা বার্তা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। আমাদের উচিত এই সকল ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
আর মাত্র দুই দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই আসুন, মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি যাতে তিনি আমাদের এই কুরবানি কবুল করে আমাদের মনের পশুত্বকে দূর করে দেন।