শ্রমিকদের নিরাপত্তার অজুহাতে দেশের অধিকাংশ বিভাগ-জেলায় দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় শুক্রবার (৩ আগস্ট) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নেই যানবাহনের চাপ। মহাসড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে রয়েছে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের কড়া নজরদারি।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সরেজমিনে সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিবালয়ের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার মহাসড়কে মোট ৩৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মহাসড়কের নয়াডিঙ্গী, গোলড়া, জাগীর, মেঘশিমুল, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এবং পাটুরিয়া ঘাটের আরসিএল মোড় এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। মহাসড়কে সীমিত আকারে চলাচল করা যানবাহন ও মোটরসাইকেল চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে এসব চেকপোস্টে।
তবে নির্দিষ্ট গন্তব্যের যানবাহন না পেয়ে ভোগান্তির কবলে পড়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ লোকাল বাস, লেগুনা বা ইঞ্জিনচালিত রিকশা ভ্যানে করে গন্তব্যে পৌঁছচ্ছেন। কিন্তু অন্য সময়ের তুলনায় মহাসড়কে যাত্রীর চাপও তুলনামূলক কম।
রাজবাড়ীগামী বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে আলাপ হয় শিবালয়ের উথুলী এলাকায়। এসময় আব্দুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, নবীনগর থেকে লোকাল বাস ও লেগুনায় করে তিন দাপে উথুলী পর্যন্ত এসেছেন তিনিসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী। মহাসড়কের উথুলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার কোনো বাস না পাওয়ায় সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে করে ফেরিঘাট এলাকায় যাচ্ছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যাত্রীসেবা পরিবহনের এক বাসচালক জানান, তার নিজের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। তবে বাসের ফিটনেস না থাকার কারণে বাসমালিক তাকে বাস চালানোর জন্য নিষেধ করেছেন। ফলে গত দুই দিন ধরে তিনি বেকার অবস্থায় পাটুরিয়া বাস টার্মিনাল এলাকায় বসে আছেন। তবে বাস চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি যানবাহনের ফিটনেসসহ যাবতীয় কাগজপত্র থাকা অবশ্যই প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এস আই) আমির হোসেন জানান, সকাল থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের আরসিএল মোড় এলাকায় তাদের চেকপোস্ট বসেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস না থাকার কারণে বিভিন্ন যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, মহাসড়কে অতিরিক্ত গতিতে যানচলাচল, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোতে মামলা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় গণ্ডগোলের কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের পরিমাণ একদম কমে এসেছে। যেসব গাড়ির কাগজপত্র ও চালকের লাইসেন্স রয়েছে শুধু তারাই এখন মহাসড়কে যানবাহন চালাচ্ছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪