শীঘ্রই বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল, এ জন্য নতুন বাড়ি করতে ইটও কিনেছিলেন। কিন্তু বিয়ে আর করা হলো না পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আর আতাইকুলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের আমির হোসেন রাব্বীর।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বনানীতে এফ আর টাওয়ারে আগুনে শেষ হয়ে গেছে রাব্বী। তার এখন আর স্বপ্ন দেখার সুযোগ নেই। রাব্বীর মৃত্যুতে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা বাবা-মা।
আর আতাইকুলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের কৃষিজীবী আইয়ুব আলীর একমাত্র ছেলে আমির হোসেন রাব্বী তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। স্থানীয় শহীদ বুলবুল কলেজ থেকে এইচএসসি ও এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এমএ পাস করে চাকরিতে যোগ দেন এফ আর টাওয়ারের ১১ তলার ইকোলাইন বিডি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে।
গত মাসে গ্রামে এসেছিলেন রাব্বী। বাড়ি নির্মাণ শেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন বলে ইট কিনেছেন। আবার বাড়ি আসার কথা ছিল এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। সেই তিনি আসলেন কিন্তু লাশ হয়ে।
রাব্বীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাসুদ রানা ফোনে রাব্বীকে না পেয়ে রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাব্বীর লাশ সনাক্ত করে বাড়িতে খবর দেয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
রাব্বীর বাবা আইয়ুব আলী জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে রাব্বী গ্রামে এসেছিল। বিয়ে করবে তাই নতুন ঘর করতে ইটসহ সরঞ্জাম কিনে রেখে গেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু ছেলে এভাবে বাড়িতে আসবে তিনি ভাবতে পারেননি।
সকালে রাব্বীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।
লাশ ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় গ্রামে পৌঁছায়। পরে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ রাইজিংবিডি