রাজশাহী বিভাগের ৮৩ শতাংশ স্কুল ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যেই নির্বিঘ্নে বিক্রি হচ্ছে সিগারেটসহ তামাকপণ্য।
এসব স্কুলের পাশে ক্ষুদ্র মুদির দোকান রয়েছে ৭৭ শতাংশ, রাস্তার পাশে তামাকের দোকান ১২ শতাংশ, কিয়স্ক (এলইডি ডিসপ্লে ডিভাইস) ৮ শতাংশ এবং ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা পাওয়া গেছে ৩ শতাংশ।
২০১৭ সালে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় ‘ঢাকা আহসানিয়া মিশন’র নেতৃত্বে মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি), ইয়াং পাওয়ার ইন সোস্যাল অ্যাকশন (ইপসা), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) যৌথভাবে ‘বিগ ট্যোবাকো টাইনি টার্গেট’ শিরোনামে শিশুদের প্রতি তামাক কোম্পানির বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি জরিপ পরিচালনা করে। গবেষণাটি একসঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় পরিচালিত হয়।
রোববার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর ‘মাস্টার সেফ’ কনফারেন্স রুমে সেই ‘বিগ ট্যোবাকো টাইনি টার্গেট’র ‘গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘সিটিএফকের সহযোগিতায় রাজশাহীর উন্নয়ন সংস্থা এসিডি এ সভার আয়োজন করে।
গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলে বলা হয়, রাজশাহী বিভাগে ৮৬ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে শিশুদের দৃষ্টি সমান্তরালে (আনুমানিক ১ মিটার) তামাকজাত দ্রব্যের প্রদশির্ত হচ্ছে। চকোলেট এবং খেলনার পাশে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে দেখা যায় ৮৬ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে। রাজশাহী বিভাগের স্কুল ও খেলার মাঠের পাশে ৮৫ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে তামাকের বিজ্ঞাপন পরিলক্ষিত হয়েছে।
এর মধ্যে ৫২ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে স্টিকার/ডামি প্যাকেট/ফেস্টুন/ফ্লায়ারসের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়েছে। পোস্টারের মাধ্যমে ৪৭ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে বিজ্ঞাপন পরিলক্ষিত হয়েছে। তামাক ক্রয়ে অনুপ্রেরণা জোগাতে ৫৮ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে বিনামূল্যে নমুনা ৩৯ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে পুরস্কার-প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। এছাড়া রাজশাহী বিভাগের ৯৭ শতাংশ দোকানে একক শলাকা সিগারেট বিক্রি হয় বলে গবেষণার ফলাফলে দেখানো হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার উপ-পরিচালক ড. শরমীন ফেরদৌস চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও এসিডির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান সজল, রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. কামরুল হাসান।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে সিটিএফকে’র গ্র্যান্টস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, রাজশাহী মাধ্যমিক (স্কুল) শিক্ষক সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন এসিডির এডভোকেসি অফিসার শরিফুল ইসলাম শামীম।
পরে এসিডি কার্যালয়ে একই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ২৪