প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুটি একাডেমিক ভবনের বর্ধিতাংশ ও সংস্কারের কাজ চলছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার সুন্দর পরিবেশ ও শ্রেণিকক্ষের সংকট লাঘব করতেই ভবন দুটির বর্ধিতাংশ ও সংস্কারের কাজ গত বছর থেকে শুরু হয় বলে জানান বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) খোন্দকার শাহরিয়ার রহমান বলেন , সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের কাজ এ বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে। আর ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ভবনের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের পূর্বদিকের তিনতলা বর্ধিত করে এবং অপরদিকে ভবনের দুইতলা বর্ধিত করে চার তলা’র বর্ধিত করার কাজ শেষ এখন নতুন বর্ধিত ভবনের উপর পলেস্তার আর রং দেয়ার কাজ চলছে। অন্যদিকে, নির্মাণাধীন তিন তলা বিশিষ্ট সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের বর্ধিত করে এক তলা বাড়িয়ে চার তলার কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু এ ভবনের উত্তর-পশ্চিম দিকে আরও বর্ধিত করার কাজ চলছে।
বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের কাজ শুরু হয়েছে গত বছরের শুরুতেই। এটি নির্মাণে ডিপিবির বরাদ্দ ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
অন্যদিকে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের তিনতলা থেকে চারতলা ও উত্তর-পশ্চিম দিকে বর্ধিতাংশের কাজ গত বছরের জুলাই মাসে শুরু হয়। এটি নির্মাণে ডিপিবি বরাদ্দ ২২ কোটি ২৩ লাখ ৬৬ হাজার।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের সংকট দূর করতেই আমরা গত বছর ভবনগুলো বর্ধিত ও সংস্কারের কাজ শুরু করি। বর্ধিত ও সংস্কারের কাজ শেষ শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ সংকটে আর ভুগবে না।’ শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য শিগগিরই আরো দুটি হলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’
খবর কৃতজ্ঞতাঃ Daily Sunshine