নাটোর পৌরসভা এবং সিংড়া পৌরসভা এলাকায় চলমান কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আরো সাতদিন বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং মৃত্যু বিবেচনা করে এ মেয়াদ আগামী ২২ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে নাটোর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নাটোর ডিসি মো. শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা, সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা, নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার রায়, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মঞ্জুর রহমান প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, জেলায় করোনার সংক্রমণ এখনো ঊর্ধ্বমুখী, জেলায় মৃত্যুর সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে। চলমান পরিস্থিতি সভায় পর্যালোচনা করা হয় এবং ১৫ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ২২ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চলমান লকডাউনে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চলাচল ছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকাতে জনসাধারণ ও অন্যান্য পণ্যের চলাচলে বিধি-নিষেধ অব্যাহত থাকবে। জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্যে এবং নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যও সভায় অনুরোধ জানানো হয়।
কর্মহীন মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দিলে এ ব্যাপারে প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় সহযোগিতার জন্যে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্যেও অনুরোধ জানানো হয় সভায়।
এছাড়া নাটোর সদর হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসা সেবার শয্যা ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত এবং চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের জন্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় সফলতা অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নাটোরে আরো চারজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে মর্জিনা বেগম (৫০) ও দেলোয়ার হোসেন (৪৯) নামে দুই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এবং আহম্মদ আলী (৬০) নামে একজন নাটোর হাসপাতালে ও মোসলেম উদ্দিন (৪৮) নামে অপর একজন বড়াইগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। এনিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৮ জনে।
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের হার একদিনের ব্যবধানে ১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩২৬ জন। ১৭১ জনের করোনা নমুনা পরীক্ষা করে আরো ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খবর কৃতজ্ঞতাঃ বাংলানিউজ