এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আত্রাই উপজেলায় সর্বোচ্চ ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া নওগাঁ সদরে ছয়জন, রানীনগরে তিনজন, ধামইরহাটে দুজন, মহাদেবপুরে সাতজন, মান্দায় চারজন, সাপাহারে সাতজন, বদলগাছিতে ছয়জন, নিয়ামতপুরে পাঁচজন, পত্নীতলায় একজন ও পোরশায় দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
নওগাঁয় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ১৩ মে। নতুন ৫৩ জন নিয়ে জেলায় শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২১ হাজার ৩৯৬। এ পর্যন্ত জেলায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ হাজার ৭৩৬ জনের।
করোনার সংক্রমণ রোধে ৩ জুন থেকে নওগাঁর কয়েকটি উপজেলায় সপ্তাহব্যাপী আংশিক লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। ওই লকডাউন শেষে পুরো জেলায় বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। দ্বিতীয় দফার বিধিনিষেধ আজ সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হচ্ছে।
নওগাঁর সিভিল সার্জন এ বি এম আবু হানিফ বলেন, ‘নওগাঁয় গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। একসময় জেলায় সংক্রমণের হার প্রায় ৪০ শতাংশ ছিল। লকডাউন ও বিধিনিষেধ আরোপের ফলে সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও এখনো উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রয়েছে। কারণ, দুই সপ্তাহ ধরে জেলায় প্রতিদিন গড় সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশের কাছাকাছি থাকছে। এ অবস্থায় আমরা অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ওপর বেশি জোর দিচ্ছি। মানুষকে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের উদ্যোগে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
খবর কৃতজ্ঞতাঃ প্রথম-আলো